আজ ২৭শে ফেব্রুয়ারী রোজ সোমবার কুয়েতের সেন্ট্রাল জেল থেকে কুয়েতের অগ্রদৃষ্টি অফিসে ফোন করেছিলেন মির্জা আসাম নামে একজন কারাবন্দী কুয়েত প্রবাসী বাংলাদেশী।
কারাবন্দী মির্জা আসাম জানালেন, প্রায় এক বছর ধরে কুয়েতের সেন্ট্রাল জেলে তিনি বিনাদোষে সাজা ভোগ করছেন।
এসময় অগ্রদৃষ্টির সম্পাদক আ,হ,জুবেদ জিজ্ঞেস করেন, কেন এবং কী কারণে তাকে কুয়েত কারাগারে সাজা ভোগ করতে হচ্ছে?
কারাবন্দী মির্জা আসাম বলেন, আমি কুয়েত আসার এক বছর পর একজন প্রবাসী বাংলাদেশীর প্ররোচনায় পড়ে নিজের অজান্তে,অনিচ্ছাসত্ত্বেও একটি অবৈধ কাজে জড়িয়ে যাই, বিধায় আজ আমাকে কুয়েতের কারাগারে মানবেতর জীবনযাপন করতে হচ্ছে।
কী ধরনের অবৈধ কাজে জড়িয়ে গিয়েছিলেন? এমন এক প্রশ্নের জবাবে মির্জা আসাম বলেন, হিরোইন পাচারকারীদের চক্রান্তে আমি কীভাবে যে, জড়িয়ে গেছি তা মোটেও বুঝতে পারিনি।
দু’বছর আগে আমি কুয়েতের একটি ক্লিনিং কোম্পানিতে এসেছিলাম, সল্প বেতন হলেও ক্লিনিং কোম্পানিতে বেশ ভালই জীবনযাপন করছিলাম।
কিন্তু আমার কম বেতনভোগী, অসহায়ত্ব ও হতাশাগ্রস্থ জীবন দেখে একদিন অপরিচিত একজন প্রবাসী বাংলাদেশী আমাকে বললেন, এসব কম বেতনে কাজ করে কী লাভ, আসো আমি তোমাকে কাজ দেবো, তুমি ভালো টাকাপয়সা উপার্জন করতে পারবে।
সেদিন উনার কথায় বিশ্বাস করে আমি উনার সাথে গিয়েছিলাম, তারপর আমার আর সুখের ঘরে ফিরা হলো না।
আমি হয়ে গেলাম হিরোইন পাচারকারী, বন্দি হলাম কুয়েতের কারাগারে, সংশ্লিষ্ট অপরাধে কুয়েত সরকারের আইনে ২৫বছরের সাজা হলো আমার, বলেন,কারাবন্দী মির্জা আসাম।
এদিকে কারাবন্দী মির্জা আসাম টেলিফোনে কথা বলার সময় অগ্রদৃষ্টির সম্পাদকের মাধ্যমে বাংলাদেশ কমিউনিটি কুয়েতের সভাপতি জাহাঙ্গীর হুসেন পাটোয়ারীর সঙ্গেও তিনি কথা বলেন।
কারাবন্দী মির্জা আসাম জাহাঙ্গীর হুসেন পাটোয়ারীর কাছে সাহায্যের আবেদন করে বলেন, আমি নির্দোষী একজন অসহায় মানুষ, অবৈধ কাজে লিপ্ত কতিপয় বাংলাদেশীরা আমাকে ব্যবহার করেছে, আমাকে তারা যে কাজে ব্যবহার করেছিল; সেটি আমি বুঝতে পারিনি। আমি যদি জানতাম হিরোইন পাচারকারী হিসেবে আমি ব্যবহার হচ্ছি, তাহলে অবশ্য’ই আমি এথেকে বিরত থাকতাম।
তাই স্যার আপনার কাছে আমার আকুল আবেদন, আমাকে জেল থেকে মুক্ত হতে সাহায্য করুন।
জাহাঙ্গীর হুসেন পাটোয়ারী খুবই গুরুত্ব সহকারে কারাবন্দী মির্জা আসামের কথা শুনে বলেন, আমি আমার সাধ্যমতো আপনাকে সাহায্য করবো।
তবে আপনার বিরুদ্ধে মামলার ধরনটি বুঝার জন্য উক্ত মামলা নাম্বারটি প্রয়োজন হবে; সুতরাং সেই নাম্বাটি আমাকে পাঠিয়ে দিবেন।
বাংলাদেশ কমিউনিটি কুয়েতের সভাপতি, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর হুসেন পাটোয়ারীর কথা শুনে কারাবন্দী মির্জা আসাম আশায় বুক বেঁধেছেন।